Top News

বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের দশম আসর। দেশের একমাত্র এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ চলবে দেড় মাস ধরে। তবে একই সময়ে বিশ্বের নানাপ্রান্তে মাঠে গড়াবে আরও বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ।

আগামী বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি মাথায় রেখে জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করছে বিসিবি। গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দশম আসরের ফিক্সশ্চার ঘোষণা করে তারা। আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে বিপিএল চলবে মার্চের ১ তারিখ পর্যন্ত। ঠিক একই দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঠে গড়াবে আইএলটি-২০ লিগ, চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শুধু এই লিগই নয়, বিপিএলের সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আরও চারটি লিগের সময়সূচী। যে কারণে মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড়ের সংকট দেখা দিতে পারে বিপিএলে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ 'এসএ লিগ' ১০ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।  এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ লিগ গত ৭ ডিসেম্বর মাঠে গড়িয়েছে। চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে নিউজিল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সুপার স্ম্যাশ। এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল মাঠে গড়াবে ২৮ জানুয়ারি।

তবে বিপিএলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ পিএসএল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শুরু হয়ে এই টুর্নামেন্ট চলবে মার্চের মাঝামাঝি। পিএসএলের সূচি অবশ্যম্ভাবীভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বিপিএলে। কারণ বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশী খেলোয়াড়দের জন্য অনেক বেশি মাত্রায় পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল।

বিপিএলের সবশেষ মৌসুমে সব মিলিয়ে ২৫জন পাকিস্তানি খেলোয়াড় খেলে গেছেন বিপিএলে। এই তালিকায় আছেন ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিপিএল দিয়েই গতবার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তানের টেপ-বল স্পেশালিস্ট ব্যাটার খাজা নাফির।

পাকিস্তানের খেলোয়াড় ছাড়াও আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দেরও ব্যাপক চাহিদা বিপিএলে। এছাড়া গত মৌসুমে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রাও গত মৌসুমে বিপিএলে খেলেছেন। তাদের অনেকেই সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই খেলে থাকেন। একই সময়ে আরও চারটি টুর্নামেন্ট হওয়ায় নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের সার্ভিস পাওয়া বিপিএলের দলগুলোর জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post